বিটকয়েন হলো একটি ডিজিটাল মুদ্রা বা ক্রিপ্টোকারেন্সি। এটি ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যবহার করা হয় এবং কোনো নির্দিষ্ট দেশের সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় না। বিটকয়েনকে অনেকেই “ডিজিটাল স্বর্ণ” হিসেবেও মনে করে।
বিটকয়েনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য:
- বিকেন্দ্রীকৃত: বিটকয়েন কোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় না। এটি একটি বিকেন্দ্রীকৃত সিস্টেমের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
- সীমিত সরবরাহ: মোট বিটকয়েনের সংখ্যা সীমিত। এই কারণে এর মূল্য অনেক সময় উঠানামা করে।
- ব্লকচেইন প্রযুক্তি: বিটকয়েনের সমস্ত লেনদেন একটি ব্লকচেইন নামক একটি পাবলিক লেজারে রেকর্ড করা হয়। এই লেজারটি অত্যন্ত নিরাপদ এবং পরিবর্তন করা অসম্ভব।
- স্বচ্ছতা: বিটকয়েনের লেনদেন সকলের জন্য দৃশ্যমান। তবে ব্যবহারকারীদের পরিচয় গোপন রাখা যায়।
বিটকয়েন কেন ব্যবহার করা হয়: - দ্রুত লেনদেন: বিটকয়েনের মাধ্যমে লেনদেন খুব দ্রুত সম্পন্ন করা যায়।
- কম খরচ: বিটকয়েনের লেনদেনে সাধারণত ব্যাংকের লেনদেনের তুলনায় কম খরচ হয়।
- সার্বিক অ্যাক্সেস: ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে যে কেউ বিটকয়েন ব্যবহার করতে পারে।
বিটকয়েনের কিছু সীমাবদ্ধতা: - মূল্যের অস্থিরতা: বিটকয়েনের মূল্য খুব দ্রুত ওঠানামা করতে পারে।
- নিয়ন্ত্রণের অভাব: কোনো কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ না থাকার কারণে বিটকয়েন ব্যবহারে কিছুটা ঝুঁকি থাকে।
- তারিখের আগে লেনদেন বাতিল করার সুযোগ নেই: একবার কোনো লেনদেন হয়ে গেলে তা আর বাতিল করা যায় না।
বিটকয়েন সম্পর্কে আরো জানতে আপনি অনলাইনে বিভিন্ন তথ্য উৎস ব্যবহার করতে পারেন।
দ্রষ্টব্য: বিটকয়েন একটি জটিল বিষয় এবং এটিতে বিনিয়োগ করার আগে ভালো করে গবেষণা করা উচিত।
নিহাদ সাজিদ/এমএস