ঢাকা ১২:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কারে ইবি ছাত্রশিবিরের ১১০ দফা প্রস্তাব 

বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কারে ইবি ছাত্রশিবিরের ১১০ দফা প্রস্তাব 

বেস্ট টিচার অ্যাওয়ার্ড চালু করা, গণরুম-গেস্টরুম কালচার বন্ধ, দ্রুত ছাত্র সংসদ প্রতিষ্ঠা, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের সাথে জাড়িত শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ, আওয়ামী শাসনামলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দূর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ, শিক্ষকদের মূল্যায়নের ব্যবস্থা চালু, সেশনজট নিরসন, মাদকমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত ও ভর্তি পরীক্ষার সংষ্কারসহ ১১০ দফা প্রস্তাব দিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ছাত্রশিবির। 

শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বরাবর এ সংক্রান্ত একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন সংগঠনটির নেতারা। পরে বিকেলে এ সংস্কার প্রস্তাব সংক্রান্ত বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিং করেন তারা। এসময় সংগঠনটির সভাপতি এইচ এম আবু মুসা, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান ও দপ্তর সম্পাদক ইউসুফ আলী উপস্থিত ছিলেন। 

প্রেস ব্রিফিং-এ প্রস্তাবনা পেশ করেন সভাপতি এইচ এম আবু মুসা। উল্লেখযোগ্য প্রস্তাবগুলো হলো- স্বৈরশাসনামলে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের উপর নির্যাতনকারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিচার নিশ্চিত করা, ২০১২ সালে গুমের শিকার ইবির ২ শিক্ষার্থী ওয়ালিউল্লাহ ও মুকাদ্দাসের সন্ধানে পদক্ষেপ গ্রহণ, হিজাব-নিকাব নিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে আক্রমনাত্মক আচরণ ও ইসলাম বিদ্বেষী কার্যক্রমের সাথে জড়িতদের বিচার নিশ্চিত করা, ফ্যাসিবাদের আইকনদের নামের স্থাপনার নাম পরিবর্তন, শিক্ষার্থীদের শতভাগ আবাসন নিশ্চিতকরন, ক্লাসরুম সংকট নিরসন, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় সুবিধা নিশ্চিতকরণ, জব এইড কর্ণার চালু করা,  মাদকবিরোধী সেল গঠন করা ও কেন্দ্রীয় রিসার্চ সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা।

প্রস্তাবনার মধ্যে আরো আছে- কুস্টিয়া ও ঝিনাইদহের সাথে রেল যোগাযোগ স্থাপন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গঠন, সুইমিং পুল ও স্টেডিয়াম তৈরি, শিক্ষক নিয়োগে স্বচ্ছতা, ইবি থানা স্থানান্তর বাতিল করা, মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠা, সপ্তাহে ৭ দিন কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার খোলা রাখা, সকল বিভাগে ছাত্রীদের জন্য নামাজের রুম ও কমনরুম তৈরি করা, চিকিৎসাকেন্দ্র আধুনিকায়ন করা, ডিজিটাল পরিচয়পত্র প্রদান, ক্যাফেটেরিয়া সংস্কার করা এবং জুলাই বিপ্লবের স্মৃতি সংরক্ষণ করা।

ইরফান উল্লাহ

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

নাটোরে ১২ বছরের শিশুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কারে ইবি ছাত্রশিবিরের ১১০ দফা প্রস্তাব 

আপডেট সময় : ১২:১৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪

বেস্ট টিচার অ্যাওয়ার্ড চালু করা, গণরুম-গেস্টরুম কালচার বন্ধ, দ্রুত ছাত্র সংসদ প্রতিষ্ঠা, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের সাথে জাড়িত শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ, আওয়ামী শাসনামলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দূর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ, শিক্ষকদের মূল্যায়নের ব্যবস্থা চালু, সেশনজট নিরসন, মাদকমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত ও ভর্তি পরীক্ষার সংষ্কারসহ ১১০ দফা প্রস্তাব দিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ছাত্রশিবির। 

শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বরাবর এ সংক্রান্ত একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন সংগঠনটির নেতারা। পরে বিকেলে এ সংস্কার প্রস্তাব সংক্রান্ত বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিং করেন তারা। এসময় সংগঠনটির সভাপতি এইচ এম আবু মুসা, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান ও দপ্তর সম্পাদক ইউসুফ আলী উপস্থিত ছিলেন। 

প্রেস ব্রিফিং-এ প্রস্তাবনা পেশ করেন সভাপতি এইচ এম আবু মুসা। উল্লেখযোগ্য প্রস্তাবগুলো হলো- স্বৈরশাসনামলে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের উপর নির্যাতনকারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিচার নিশ্চিত করা, ২০১২ সালে গুমের শিকার ইবির ২ শিক্ষার্থী ওয়ালিউল্লাহ ও মুকাদ্দাসের সন্ধানে পদক্ষেপ গ্রহণ, হিজাব-নিকাব নিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে আক্রমনাত্মক আচরণ ও ইসলাম বিদ্বেষী কার্যক্রমের সাথে জড়িতদের বিচার নিশ্চিত করা, ফ্যাসিবাদের আইকনদের নামের স্থাপনার নাম পরিবর্তন, শিক্ষার্থীদের শতভাগ আবাসন নিশ্চিতকরন, ক্লাসরুম সংকট নিরসন, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় সুবিধা নিশ্চিতকরণ, জব এইড কর্ণার চালু করা,  মাদকবিরোধী সেল গঠন করা ও কেন্দ্রীয় রিসার্চ সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা।

প্রস্তাবনার মধ্যে আরো আছে- কুস্টিয়া ও ঝিনাইদহের সাথে রেল যোগাযোগ স্থাপন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গঠন, সুইমিং পুল ও স্টেডিয়াম তৈরি, শিক্ষক নিয়োগে স্বচ্ছতা, ইবি থানা স্থানান্তর বাতিল করা, মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠা, সপ্তাহে ৭ দিন কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার খোলা রাখা, সকল বিভাগে ছাত্রীদের জন্য নামাজের রুম ও কমনরুম তৈরি করা, চিকিৎসাকেন্দ্র আধুনিকায়ন করা, ডিজিটাল পরিচয়পত্র প্রদান, ক্যাফেটেরিয়া সংস্কার করা এবং জুলাই বিপ্লবের স্মৃতি সংরক্ষণ করা।

ইরফান উল্লাহ