ঢাকা ০২:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

টাকা কুড়িয়ে পেলে মুসলমানদের কর্তব্য কী?

ছবিঃ সংগৃহীত

রাস্তাঘাটে চলাচলের সময় অনেকেই মনের অজান্তে টাকাপয়সা হারিয়ে ফেলেন। সেই টাকা খুঁজে পেতে অনেক বেগ পেতে হয়। তবে মুসলমান হিসেবে আমাদের উচিত, হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তির টাকা খুঁজতে সাহায্য করা। এ জন্য রাস্তাঘাটে মূল্যবান কিছু পেলে ঘোষণা দিয়ে জানাতে হয়। টাকাপয়সার বেলায়ও একই বিধান।

ঘোষণা এমনভাবে দিতে হবে যাতে প্রকৃত মালিক পর্যন্ত তা পৌঁছার সম্ভাবনা থাকে। এমন জায়গা বেছে নিতে হবে যেখানে জনসমাগম বেশি থাকে। যেমন- মসজিদ, বাজার, স্টেশন ইত্যাদি। বর্তমান যুগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে কমিউনিটি গ্রুপ থাকে। সেসবে ঘোষণা দিতে হবে।

হজরত জাইদ ইবনে খালিদ আল-জুহানি (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, কোনো হারানো জিনিস প্রাপ্তি প্রসঙ্গে আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এক বছর না হওয়া পর্যন্ত এর ঘোষণা দিতে থাক। যদি শনাক্তকারী কোনো লোক পাওয়া যায়, তাহলে তাকে তা ফেরত দাও। এর ব্যতিক্রম হলে, তুমি এর থলে ও থলের বন্ধনী সঠিকভাবে চিনে রাখো এবং এর মধ্যকার জিনিস গণনা করার পর কাজে ব্যবহার করো। তারপর মালিক এসে গেলে, তার কাছে এটা ফিরিয়ে দিও। (ইবনে মাজাহ ২৫০৭; তিরমিজি ১৩৭৩) এর পরও যদি মালিক না পাওয়া যায়, মালিকের সন্ধান পাওয়া যাবে না বলে প্রবল ধারণা হয় তাহলে তা কোনো গরিব-মিসকিনকে সদকা করে দেওয়া যাবে। প্রাপক দরিদ্র হলে সে নিজেও তা রেখে দিতে পারবে। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া ২/২৮৯; আদ্দুররুল মুখতার ৪/২৭৮) তবে, যদি টাকার পরিমাণ কম হয় যে, মালিক তা অনুসন্ধান করবে না সে ক্ষেত্রে কোনো ফকিরকে সদকা দেওয়া যাবে।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

অনলাইন স্ক্যাম ও জালিয়াতি প্রতিরোধে নতুন ফিচার আনল হোয়াটসঅ্যাপ

টাকা কুড়িয়ে পেলে মুসলমানদের কর্তব্য কী?

আপডেট সময় : ০২:১৪:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪

রাস্তাঘাটে চলাচলের সময় অনেকেই মনের অজান্তে টাকাপয়সা হারিয়ে ফেলেন। সেই টাকা খুঁজে পেতে অনেক বেগ পেতে হয়। তবে মুসলমান হিসেবে আমাদের উচিত, হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তির টাকা খুঁজতে সাহায্য করা। এ জন্য রাস্তাঘাটে মূল্যবান কিছু পেলে ঘোষণা দিয়ে জানাতে হয়। টাকাপয়সার বেলায়ও একই বিধান।

ঘোষণা এমনভাবে দিতে হবে যাতে প্রকৃত মালিক পর্যন্ত তা পৌঁছার সম্ভাবনা থাকে। এমন জায়গা বেছে নিতে হবে যেখানে জনসমাগম বেশি থাকে। যেমন- মসজিদ, বাজার, স্টেশন ইত্যাদি। বর্তমান যুগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে কমিউনিটি গ্রুপ থাকে। সেসবে ঘোষণা দিতে হবে।

হজরত জাইদ ইবনে খালিদ আল-জুহানি (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, কোনো হারানো জিনিস প্রাপ্তি প্রসঙ্গে আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এক বছর না হওয়া পর্যন্ত এর ঘোষণা দিতে থাক। যদি শনাক্তকারী কোনো লোক পাওয়া যায়, তাহলে তাকে তা ফেরত দাও। এর ব্যতিক্রম হলে, তুমি এর থলে ও থলের বন্ধনী সঠিকভাবে চিনে রাখো এবং এর মধ্যকার জিনিস গণনা করার পর কাজে ব্যবহার করো। তারপর মালিক এসে গেলে, তার কাছে এটা ফিরিয়ে দিও। (ইবনে মাজাহ ২৫০৭; তিরমিজি ১৩৭৩) এর পরও যদি মালিক না পাওয়া যায়, মালিকের সন্ধান পাওয়া যাবে না বলে প্রবল ধারণা হয় তাহলে তা কোনো গরিব-মিসকিনকে সদকা করে দেওয়া যাবে। প্রাপক দরিদ্র হলে সে নিজেও তা রেখে দিতে পারবে। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া ২/২৮৯; আদ্দুররুল মুখতার ৪/২৭৮) তবে, যদি টাকার পরিমাণ কম হয় যে, মালিক তা অনুসন্ধান করবে না সে ক্ষেত্রে কোনো ফকিরকে সদকা দেওয়া যাবে।

কেকে