ঢাকা ০২:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

ঘরোয়া উপাদানে কাশি-হাঁচি ও দাঁতব্যথা থেকে মুক্তি

ছবিঃ সংগৃহীত

আপনি যদি সুস্থ থাকতে যান, তাহলে এ সময়ে রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা আরও জোরদার করে ফেলুন। আয়ুর্বেদ বলছে— এই কাজে সাহায্য করতে পারে লবঙ্গ। এ মসলা খাবার আরও অনেক উপকারও রয়েছে।

এখনো সেভাবে শীত আসেনি। তবে একটু একটু করে শীতের আবহাওয়া পাওয়া যাচ্ছে। বাতাসে দূষণ ও ভাইরাসের পরিমাণ বাড়ছে। ফলে যাদের অ্যালার্জি বা ঠান্ডা লাগার ধাত রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে কষ্ট আরও সাংঘাতিক আকার ধারণ করছে। এর মধ্যেই অনেকের গলা খুসখুস, নাক সুড়সুড়, কাশি, হাঁচি শুরু হয়েছে।

আপনি যদি সুস্থ থাকতে চান, তাহলে যতটুকু সম্ভব লবঙ্গ খান। সকালে খালি পেটে লবঙ্গ ভেজানো পানি খেলে আপনার যে সমস্যা রয়েছে, আশা করি তা দূর হবে। জেনে নিন কীভাবে সুস্থ থাকবেন আপনি।

১. বাত, পিত্ত ও কফের সমতা বজায় রাখে—

সব রোগের মূলে হলো— বাত, পিত্ত ও কফ দোষ। শরীরের তিন দোষের মধ্যে সমতা রাখতে না পারলে যেমন পেটের সমস্যা হয়, তেমনই নাক, গলা কিংবা ত্বক, চুলের স্বাস্থ্যও বিঘ্নিত হতে পারে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, লবঙ্গ ভেজানো পানি খেলে বাত, পিত্ত ও কফ— এই ত্রিদোষের মধ্যে ভারসাম্য থাকে।

২. হজমশক্তি উন্নত হয়—

সকালে খালি পেটে লবঙ্গ ভেজানো পানি খেলে পরিপাক ভালো থাকে। পাশাপাশি গ্যাস, অম্বল ও পেটফাঁপার মতো সমস্যাও দূর হয়। খাবার হজমে সহায়ক উৎসেচকগুলো ক্ষরণে সহায়তা করে।

৩. গলা-বুক জ্বালা কমায়—

লবঙ্গের নিজস্ব ঝাঁজ রয়েছে। প্রকৃতিগতভাবেও এ মসলাটি গরম। কিন্তু গলা-বুক জ্বালার মতো সমস্যা নিরাময় করতে লবঙ্গ ভেজানো পানির জুড়ি নেই। শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করতেও এ পানীয়টি বেশ কাজের।

৪. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে—

সকালে হালকা পানিতে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকের। অনেকে আবার শসা, আদা, পুদিনাপাতা মেশানো ডিটক্স পানীয়ও খেয়ে থাকেন। তবে এর বদলে যদি লবঙ্গ ভেজানো পানি খাওয়া যায়, তা হলে বিপাকহারের ‘পালে হাওয়া লাগে’, যা পরোক্ষভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

৫. রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করে—

সাধারণতো সর্দিকাশি ও গলা খুসখুসে আরাম দেয় লবঙ্গ। এ মসলায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যেগুলো আসলে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল ও অ্যান্টিভাইরাল। মৌসুম বদলের সময়ে এই টোটকা রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা আরও জোরদার করে তুলতে সাহায্য করে।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

অনলাইন স্ক্যাম ও জালিয়াতি প্রতিরোধে নতুন ফিচার আনল হোয়াটসঅ্যাপ

ঘরোয়া উপাদানে কাশি-হাঁচি ও দাঁতব্যথা থেকে মুক্তি

আপডেট সময় : ০২:০৪:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

আপনি যদি সুস্থ থাকতে যান, তাহলে এ সময়ে রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা আরও জোরদার করে ফেলুন। আয়ুর্বেদ বলছে— এই কাজে সাহায্য করতে পারে লবঙ্গ। এ মসলা খাবার আরও অনেক উপকারও রয়েছে।

এখনো সেভাবে শীত আসেনি। তবে একটু একটু করে শীতের আবহাওয়া পাওয়া যাচ্ছে। বাতাসে দূষণ ও ভাইরাসের পরিমাণ বাড়ছে। ফলে যাদের অ্যালার্জি বা ঠান্ডা লাগার ধাত রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে কষ্ট আরও সাংঘাতিক আকার ধারণ করছে। এর মধ্যেই অনেকের গলা খুসখুস, নাক সুড়সুড়, কাশি, হাঁচি শুরু হয়েছে।

আপনি যদি সুস্থ থাকতে চান, তাহলে যতটুকু সম্ভব লবঙ্গ খান। সকালে খালি পেটে লবঙ্গ ভেজানো পানি খেলে আপনার যে সমস্যা রয়েছে, আশা করি তা দূর হবে। জেনে নিন কীভাবে সুস্থ থাকবেন আপনি।

১. বাত, পিত্ত ও কফের সমতা বজায় রাখে—

সব রোগের মূলে হলো— বাত, পিত্ত ও কফ দোষ। শরীরের তিন দোষের মধ্যে সমতা রাখতে না পারলে যেমন পেটের সমস্যা হয়, তেমনই নাক, গলা কিংবা ত্বক, চুলের স্বাস্থ্যও বিঘ্নিত হতে পারে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, লবঙ্গ ভেজানো পানি খেলে বাত, পিত্ত ও কফ— এই ত্রিদোষের মধ্যে ভারসাম্য থাকে।

২. হজমশক্তি উন্নত হয়—

সকালে খালি পেটে লবঙ্গ ভেজানো পানি খেলে পরিপাক ভালো থাকে। পাশাপাশি গ্যাস, অম্বল ও পেটফাঁপার মতো সমস্যাও দূর হয়। খাবার হজমে সহায়ক উৎসেচকগুলো ক্ষরণে সহায়তা করে।

৩. গলা-বুক জ্বালা কমায়—

লবঙ্গের নিজস্ব ঝাঁজ রয়েছে। প্রকৃতিগতভাবেও এ মসলাটি গরম। কিন্তু গলা-বুক জ্বালার মতো সমস্যা নিরাময় করতে লবঙ্গ ভেজানো পানির জুড়ি নেই। শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করতেও এ পানীয়টি বেশ কাজের।

৪. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে—

সকালে হালকা পানিতে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকের। অনেকে আবার শসা, আদা, পুদিনাপাতা মেশানো ডিটক্স পানীয়ও খেয়ে থাকেন। তবে এর বদলে যদি লবঙ্গ ভেজানো পানি খাওয়া যায়, তা হলে বিপাকহারের ‘পালে হাওয়া লাগে’, যা পরোক্ষভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

৫. রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করে—

সাধারণতো সর্দিকাশি ও গলা খুসখুসে আরাম দেয় লবঙ্গ। এ মসলায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যেগুলো আসলে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল ও অ্যান্টিভাইরাল। মৌসুম বদলের সময়ে এই টোটকা রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা আরও জোরদার করে তুলতে সাহায্য করে।

কেকে