ঢাকা ০৭:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শিক্ষার্থীদের জন্য ড্রাইভিং প্রশিক্ষন চালু করলো বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি ১২০০ বস্তা চাল নিয়ে গুজব ছড়ানো হয়েছে: উপদেষ্টা আসিফ বাসে ওঠার সময় যাত্রীদের ছবি তুলে রাখা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ পর্যালোচনায় কমিটি হচ্ছে : আইন উপদেষ্টা ফারুকের মনোনয়ন বাতিল ও আমিনুলের মনোনয়ন কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট সেপ্টেম্বর নাগাদ মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নামবে : গভর্নর বিভিন্ন দেশের ভিসা বন্ধ হওয়ার জন্য দেশের মানুষ ও ব্যবসায়ীরাই দায়ী: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আমরা ক্ষমতা নেইনি, দায়িত্ব নিয়েছি: অর্থ উপদেষ্টা নতুন চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নিশ্চয়তা চায় ইরান মনপুরায় ভিজিএফ চাউলের চুরি ধরা পরায় সাংবাদিকদের হুমকি ওয়ার্ড মেম্বারের

রোহিঙ্গারা ফিরে যেতে চায় মিয়ানমারে : পররাষ্ট্র সচিব

ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশের আশ্রয় শিবিরে থাকা রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মো. জসিম উদ্দিন।

রোববার (১০ নভেম্বর) সকালে পররাষ্ট্র দপ্তরে পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মো. জসিম উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত ইউ কিয়াও সোয়ে মো। এ সময় সোয়ের সঙ্গে সাক্ষাতে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্র সচিব।

বৈঠকের শুরুতে পররাষ্ট্র সচিব প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার গুরুত্বের ওপর জোর দেন। তিনি মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের দিকে আরও বাস্তুচ্যুতি রোধ করতে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য মিয়ানমারকে আহ্বান জানান।

এ সময় মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ক্রমবর্ধমান অশান্ত পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন পররাষ্ট্র সচিব। অশান্তি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতিকে আরও তীব্র করেছে উল্লেখ করে বলেন পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এর ফলে সম্প্রতি আরও বাংলাদেশে রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ ঘটেছে এবং ইতোমধ্যে সেখানে আশ্রয় নেওয়া ১.২ মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।

পররাষ্ট্র সচিব মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে লক্ষ্যচ্যুত মর্টার শেল সীমান্তের এ পারে এসে পড়া এবং বাংলাদেশি নৌকায় গুলি বর্ষণের কথা উল্লেখ করে সীমান্তে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, এসব ঘটনা বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জনগোষ্ঠীর মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলেছে, তাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেলেছে।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, কক্সবাজারে আইনশৃঙ্খলার অবনতি, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি এবং আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষ, মাদক চোরাচালান ও পাচার বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব বিষয় স্থানীয় সম্পদ ও প্রশাসনের ওপর যথেষ্ট চাপ সৃষ্টি করেছে।

এ সময় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত তাদের প্রত্যাবাসনের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে নিশ্চিত করে বাস্তুচ্যুতি সংকটের একটি সম্ভাব্য সমাধানের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করেন। উভয় পক্ষই রাখাইনে ইউএনডিপি’র সাম্প্রতিক সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষের পূর্বাভাস নিয়েও আলোচনা করে।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষার্থীদের জন্য ড্রাইভিং প্রশিক্ষন চালু করলো বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি

রোহিঙ্গারা ফিরে যেতে চায় মিয়ানমারে : পররাষ্ট্র সচিব

আপডেট সময় : ১০:৩৭:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের আশ্রয় শিবিরে থাকা রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মো. জসিম উদ্দিন।

রোববার (১০ নভেম্বর) সকালে পররাষ্ট্র দপ্তরে পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মো. জসিম উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত ইউ কিয়াও সোয়ে মো। এ সময় সোয়ের সঙ্গে সাক্ষাতে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্র সচিব।

বৈঠকের শুরুতে পররাষ্ট্র সচিব প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার গুরুত্বের ওপর জোর দেন। তিনি মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের দিকে আরও বাস্তুচ্যুতি রোধ করতে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য মিয়ানমারকে আহ্বান জানান।

এ সময় মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ক্রমবর্ধমান অশান্ত পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন পররাষ্ট্র সচিব। অশান্তি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতিকে আরও তীব্র করেছে উল্লেখ করে বলেন পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এর ফলে সম্প্রতি আরও বাংলাদেশে রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ ঘটেছে এবং ইতোমধ্যে সেখানে আশ্রয় নেওয়া ১.২ মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।

পররাষ্ট্র সচিব মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে লক্ষ্যচ্যুত মর্টার শেল সীমান্তের এ পারে এসে পড়া এবং বাংলাদেশি নৌকায় গুলি বর্ষণের কথা উল্লেখ করে সীমান্তে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, এসব ঘটনা বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জনগোষ্ঠীর মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলেছে, তাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেলেছে।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, কক্সবাজারে আইনশৃঙ্খলার অবনতি, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি এবং আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষ, মাদক চোরাচালান ও পাচার বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব বিষয় স্থানীয় সম্পদ ও প্রশাসনের ওপর যথেষ্ট চাপ সৃষ্টি করেছে।

এ সময় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত তাদের প্রত্যাবাসনের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে নিশ্চিত করে বাস্তুচ্যুতি সংকটের একটি সম্ভাব্য সমাধানের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করেন। উভয় পক্ষই রাখাইনে ইউএনডিপি’র সাম্প্রতিক সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষের পূর্বাভাস নিয়েও আলোচনা করে।

কেকে