ঢাকা ০১:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কলকাতার মতো শহর পৃথিবীতে নেই : জয়া আহসান চলতি মাসেই জুলাই সনদ প্রকাশ করতে হবে : রাশেদ প্রধান জুলাই সনদ নিয়ে টালবাহানা সহ্য করা হবে না : নাহিদ ইসলাম সংস্কারবিহীন কোনো নির্বাচন জামায়াত গ্রহণ করবে না: তাহের দুঃখিত, এবার আর তা হবে না: প্রেস সচিব জুলাই অভ‍্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা স্বৈরাচারের লক্ষণ দেখামাত্রই যেন বিনাশ করতে পারি: প্রধান উপদেষ্টা জুলাই ঘোষণাপত্র দেবে অন্তর্বর্তী সরকার, কোনো দল বা ব্যক্তি নয় : জুলাই ঐক্য পদ্মা সেতুর মামলার প্রতিবেদন গায়ের জোরে দিয়েছে বিগত কমিশন : দুদক চেয়ারম্যান সবুজ পৃথিবী চাই: বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ ঢাকা আলিয়ার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

‘গণহত্যা একটি বাজে রাজনীতি’, টের কি পেলেন কমলা?

ছবিঃ সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তুমুল প্রতিদ্বন্ধিতা করতে পারেননি ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস। শুরু থেকে ইলেক্টোরাল ভোটে ব্যবধান গড়ে তুলেছিলেন ট্রাম্প। তবে শেষ পর্যন্ত পেনসিলভানিয়ায় সুইং স্টেটের ফলাফলের তাকিয়ে ছিল ডেমোক্র্যাট শিবির। আর সেখানেও হার মানেন কমলা।

ফক্স নিউজ বুধবার ভোরে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে যখন পেনসিলভেনিয়ায় বিজয়ী ঘোষণা করে, তখন এটা পরিষ্কার হয়ে উঠছিল ট্রাম্পই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন। তখনও এসময় মিশিগানের ডিয়ারবর্নে একটি ওয়াচ পার্টিতে কয়েকজন আরব-আমেরিকান ডেমোক্র্যাট সমর্থক রয়ে গিয়েছিল।

কমলা হ্যারিসের ওয়াচ পার্টিতে একজন অংশগ্রহণকারী যার দরজার বাইরে ফিলিস্তিনি এবং লেবাননের পতাকা ঝুলছে, তিনি বলছিলেন, ‘গণহত্যা একটি বাজে রাজনীতি’।

ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট পদে জয়, অনেক ডেমোক্র্যাট সমর্থকদের ক্ষোভ এবং দুঃখের জন্ম দিয়েছে। তারা নির্বাচনের শুরু থেকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে ইসরাইলের প্রতি নিঃশর্ত মার্কিন সমর্থন পুনর্বিবেচনার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন, তবে শেষ পর্যন্ত কমলা হ্যারিস এই আহ্বান উপেক্ষা করেছেন।

গাজা এবং লেবাননে নৃশংস নৃশংসতা সত্ত্বেও ভাইস প্রেসিডেন্ট যাকে ‘ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকার’ বলে অভিহিত করেছেন। নির্বাচন পর্যন্ত তা জোর দিয়ে চালিয়ে যান।

অ্যাক্টিভিস্ট অ্যাডাম আবুসালাহ বলেছেন, ‘হ্যারিস হেরে যাওয়ার কারণটির একটি অংশ ছিল গণতান্ত্রিক ভিত্তি। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে নিরলস সমর্থন আরব এবং মুসলিম আমেরিকানদের পাশাপাশি তরুণ এবং প্রগতিশীলদের মাঝে উদ্বেগ তৈরি করেছিল’।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলি গণহত্যায় কমপক্ষে ৪৩ হাজার ৩৯১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এই সময়ে আহত হয়েছে আরো ১ লাখ মানুষ। সেদিন হামাসের নেতৃত্বাধীন হামলায় ইসরাইলে আনুমানিক ১২০০ জন নিহত হয় এবং ২০০ জনেরও বেশি বন্দি হয়।

এছাড়া লেবাননে, গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ৩ হাজার ৫০ জন নিহত এবং ১৩,৬৫৮ জন আহত হয়েছে।

তথ্যসূত্র: আল জাজিরা

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

কলকাতার মতো শহর পৃথিবীতে নেই : জয়া আহসান

‘গণহত্যা একটি বাজে রাজনীতি’, টের কি পেলেন কমলা?

আপডেট সময় : ০১:৪২:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তুমুল প্রতিদ্বন্ধিতা করতে পারেননি ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস। শুরু থেকে ইলেক্টোরাল ভোটে ব্যবধান গড়ে তুলেছিলেন ট্রাম্প। তবে শেষ পর্যন্ত পেনসিলভানিয়ায় সুইং স্টেটের ফলাফলের তাকিয়ে ছিল ডেমোক্র্যাট শিবির। আর সেখানেও হার মানেন কমলা।

ফক্স নিউজ বুধবার ভোরে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে যখন পেনসিলভেনিয়ায় বিজয়ী ঘোষণা করে, তখন এটা পরিষ্কার হয়ে উঠছিল ট্রাম্পই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন। তখনও এসময় মিশিগানের ডিয়ারবর্নে একটি ওয়াচ পার্টিতে কয়েকজন আরব-আমেরিকান ডেমোক্র্যাট সমর্থক রয়ে গিয়েছিল।

কমলা হ্যারিসের ওয়াচ পার্টিতে একজন অংশগ্রহণকারী যার দরজার বাইরে ফিলিস্তিনি এবং লেবাননের পতাকা ঝুলছে, তিনি বলছিলেন, ‘গণহত্যা একটি বাজে রাজনীতি’।

ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট পদে জয়, অনেক ডেমোক্র্যাট সমর্থকদের ক্ষোভ এবং দুঃখের জন্ম দিয়েছে। তারা নির্বাচনের শুরু থেকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে ইসরাইলের প্রতি নিঃশর্ত মার্কিন সমর্থন পুনর্বিবেচনার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন, তবে শেষ পর্যন্ত কমলা হ্যারিস এই আহ্বান উপেক্ষা করেছেন।

গাজা এবং লেবাননে নৃশংস নৃশংসতা সত্ত্বেও ভাইস প্রেসিডেন্ট যাকে ‘ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকার’ বলে অভিহিত করেছেন। নির্বাচন পর্যন্ত তা জোর দিয়ে চালিয়ে যান।

অ্যাক্টিভিস্ট অ্যাডাম আবুসালাহ বলেছেন, ‘হ্যারিস হেরে যাওয়ার কারণটির একটি অংশ ছিল গণতান্ত্রিক ভিত্তি। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে নিরলস সমর্থন আরব এবং মুসলিম আমেরিকানদের পাশাপাশি তরুণ এবং প্রগতিশীলদের মাঝে উদ্বেগ তৈরি করেছিল’।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলি গণহত্যায় কমপক্ষে ৪৩ হাজার ৩৯১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এই সময়ে আহত হয়েছে আরো ১ লাখ মানুষ। সেদিন হামাসের নেতৃত্বাধীন হামলায় ইসরাইলে আনুমানিক ১২০০ জন নিহত হয় এবং ২০০ জনেরও বেশি বন্দি হয়।

এছাড়া লেবাননে, গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ৩ হাজার ৫০ জন নিহত এবং ১৩,৬৫৮ জন আহত হয়েছে।

তথ্যসূত্র: আল জাজিরা