ঢাকা ০৪:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল রাষ্ট্রদূত হওয়ায় ম্যাথিউ মিলারের অভিনন্দন

সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল রাষ্ট্রদূত হওয়ায় ম্যাথিউ মিলারের অভিনন্দন

রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় মুশফিকুল ফজল আনসারীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। স্থানীয় সময় সোমবার (২৮ অক্টোবর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এবারের ব্রিফিংয়ে প্রশ্নোত্তর দেন দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। এতে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করেন আলোচিত সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী।

প্রশ্নের একপর্যায়ে মুশফিকুল বলেন, ‘আজ এই ব্রিফিং রুমে আমার শেষ দিন। কারণ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার আমাকে রাষ্ট্রদূতের নিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে এবং আমি তা গ্রহণ করেছি। কাগজপত্র ঠিক হওয়ার পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আমাকে কোথাও পদায়ন করবে। সুতরাং, সংবাদদাতা হিসেবে এই ব্রিফিং রুমে আমার গত ১০ বছরের যাত্রা শেষ হচ্ছে। আমি আপনাকে এবং আমার সহকর্মীদের কাছে কৃতজ্ঞ।’

বিষয়টি অবগত হয়ে ম্যাথিউ মিলার মুশফিকুল ফজল আনসারীকে অভিনন্দন জানান।

প্রসঙ্গত, সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় আলোচিত সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ২১ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখা থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জাতিসংঘ এবং হোয়াইট হাউসের প্রেস কনফারেন্সে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন, নির্বাচন জালিয়াতি এবং আওয়ামী দুঃশাসন নিয়ে প্রায়ই প্রশ্ন করতেন সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের শেষ কয়েক বছরে দেশের নানা পরিস্থিতি ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরেছেন তিনি।

তবে এসব তুলে ধরতে গিয়ে তৎকালীন সরকারের রোষানলে পড়ে দেশ ছাড়েন তিনি।

মুশফিকুল ফজল আনসারী যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাস্ট নিউজ বিডি ডটকমের সম্পাদনার পাশাপাশি স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে জাতিসংঘের সদরদপ্তর ও হোয়াইট হাউসে দায়িত্ব পালন করেন।

মুশফিকুল ফজল আনসারী ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সহকারী প্রেস সচিব ছিলেন। এ ছাড়া দৈনিক ইত্তেফাকের কূটনীতিক প্রতিবেদকও ছিলেন তিনি।

বার্তা সংস্থা ইউএনবিসহ আরও কয়েকটি মিডিয়ায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন তিনি। বিশ্বব্যাংকের কনসালট্যান্টও ছিলেন। ব্রিটেনের দ্য টাইমস ও সানডে টাইমস পত্রিকায় ওয়ার্কএক্সিপিরিয়েন্স রিপোর্টার হিসেবে কাজ করেছেন।

মুশফিকুল ফজল আনসারী গত ১২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে ফেরেন। দেশের সাংবাদিকরা জাতীয় প্রেসক্লাবে তাকে সংবর্ধনা দেন।

এ এস

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

অনলাইন স্ক্যাম ও জালিয়াতি প্রতিরোধে নতুন ফিচার আনল হোয়াটসঅ্যাপ

সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল রাষ্ট্রদূত হওয়ায় ম্যাথিউ মিলারের অভিনন্দন

আপডেট সময় : ১২:৪৩:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪

রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় মুশফিকুল ফজল আনসারীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। স্থানীয় সময় সোমবার (২৮ অক্টোবর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এবারের ব্রিফিংয়ে প্রশ্নোত্তর দেন দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। এতে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করেন আলোচিত সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী।

প্রশ্নের একপর্যায়ে মুশফিকুল বলেন, ‘আজ এই ব্রিফিং রুমে আমার শেষ দিন। কারণ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার আমাকে রাষ্ট্রদূতের নিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে এবং আমি তা গ্রহণ করেছি। কাগজপত্র ঠিক হওয়ার পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আমাকে কোথাও পদায়ন করবে। সুতরাং, সংবাদদাতা হিসেবে এই ব্রিফিং রুমে আমার গত ১০ বছরের যাত্রা শেষ হচ্ছে। আমি আপনাকে এবং আমার সহকর্মীদের কাছে কৃতজ্ঞ।’

বিষয়টি অবগত হয়ে ম্যাথিউ মিলার মুশফিকুল ফজল আনসারীকে অভিনন্দন জানান।

প্রসঙ্গত, সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় আলোচিত সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ২১ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখা থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জাতিসংঘ এবং হোয়াইট হাউসের প্রেস কনফারেন্সে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন, নির্বাচন জালিয়াতি এবং আওয়ামী দুঃশাসন নিয়ে প্রায়ই প্রশ্ন করতেন সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের শেষ কয়েক বছরে দেশের নানা পরিস্থিতি ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরেছেন তিনি।

তবে এসব তুলে ধরতে গিয়ে তৎকালীন সরকারের রোষানলে পড়ে দেশ ছাড়েন তিনি।

মুশফিকুল ফজল আনসারী যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাস্ট নিউজ বিডি ডটকমের সম্পাদনার পাশাপাশি স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে জাতিসংঘের সদরদপ্তর ও হোয়াইট হাউসে দায়িত্ব পালন করেন।

মুশফিকুল ফজল আনসারী ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সহকারী প্রেস সচিব ছিলেন। এ ছাড়া দৈনিক ইত্তেফাকের কূটনীতিক প্রতিবেদকও ছিলেন তিনি।

বার্তা সংস্থা ইউএনবিসহ আরও কয়েকটি মিডিয়ায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন তিনি। বিশ্বব্যাংকের কনসালট্যান্টও ছিলেন। ব্রিটেনের দ্য টাইমস ও সানডে টাইমস পত্রিকায় ওয়ার্কএক্সিপিরিয়েন্স রিপোর্টার হিসেবে কাজ করেছেন।

মুশফিকুল ফজল আনসারী গত ১২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে ফেরেন। দেশের সাংবাদিকরা জাতীয় প্রেসক্লাবে তাকে সংবর্ধনা দেন।

এ এস