ঢাকা ০৫:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ঢাকা আলিয়ার স্বাস্থ্যকর ক্যাম্পাস গড়ার লক্ষ্যে শিবিরের পরিচ্ছন্নতা অভিযান নোয়াখালীতে হামলার প্রতিবাদে বাগেরহাট পি.সি. কলেজে কোরআন বিতরণ বাগেরহাটে মাদ্রাসার গভর্নিং কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হুমকি-ধামকি ও মারধর সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার ফিকহ বিভাগে সাফল্যের জোয়ার শরীয়তপুরে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে হেযবুত তাওহীদের মতবিনিময় সভা নলডাঙ্গায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ২০২৫ পালিত নাটোরের সিংড়ায় ৯ বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার: অভিযুক্ত রানা পলাতক কুমিল্লায় পিআর পদ্ধতিসহ ৫দফা দাবিতে জামায়াতের গণমিছিল ও সমাবেশ নোবিপ্রবিতে শীঘ্রই হচ্ছে ছাত্রদলের কমিটি, আলোচনায় জুলাই যোদ্ধা হাসিব ঐশ্বরিয়ার প্রথম পারিশ্রমিক কত ছিল?
৭ মাসেও ময়নাতদন্ত ও ফরেনসিক রিপোর্ট পায়নি পুলিশ

তদন্ত প্রতিবেদনে কী আছে, জানতে চান অবন্তিকার মা

ছবিঃ সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তবে এই প্রতিবেদনে কী আছে, তা জানতে চেয়েছেন অবন্তিকার মা। গত ১৩ জুন ওই প্রতিবেদন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেন কমিটির আহ্বায়ক ড. মো. জাকির হোসেন।

এদিকে ময়নাতদন্ত ও মোবাইল ফোনের ফরেনসিক প্রতিবেদন না আসায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনমের দায়ের করা মামলায় চার্জশিট সাত মাসেও দাখিল করতে পারেনি পুলিশ। এরই মধ্যে জামিন পেয়েছেন মামলায় গ্রেপ্তার জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও অবন্তিকার সহপাঠী রায়হান আম্মান সিদ্দিক।

পুলিশ বলছে, অবন্তিকার মোবাইল ফোনে কিছু ছবি, স্ক্রিন শট ও মেসেজ পাওয়া গেছে, যা তদন্তে সহায়ক হবে। যেহেতু অবন্তিকা ফেসবুকে আত্মহত্যার কথা লিখে গেছেন, তাই তাঁর মোবাইল ফোন আদালতের অনুমতি নিয়ে পরীক্ষার জন্য ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে হয়তো ফরেনসিক প্রতিবেদন পাওয়া যাবে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনও আসেনি। তাই মামলার চার্জশিট দিতে দেরি হচ্ছে।

গত ১৫ মার্চ রাতে কুমিল্লার বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন অবন্তিকা। এর আগে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে এজন্য দ্বীন ইসলাম, রায়হান আম্মান সিদ্দিকসহ বেশ কয়েকজনকে দায়ী করেন তিনি। পরে এ ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করে জবি প্রশাসন। ১৩ জুন কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে সমকালকে বলেন, ‘প্রতিবেদনের খামটি সিলগালা করে জমা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে কী আছে, তা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রকাশ করবে এবং বিধি মোতাবেক পরবর্তী পদক্ষেপ নিবে। আগাম কিছু বলা যাবে না।’

তবে মামলার বাদী অবন্তিকার মা বলেন, ‘জবির তৎকালীন উপাচার্য তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করার ঘোষণা দিয়েছিলেন, কিন্তু চার মাসেও জানা গেল না সেই রিপোর্টে কী আছে।’ মেয়ের আত্মহত্যার নেপথ্যে থাকা লোকদের শাস্তি পাওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে তাহমিনা শবনম বলেন, ‘ঘটনার দুই হোতা আদালতে জামিন পেয়েছেন। আরও যারা জড়িত, তাদের শাস্তি হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।’ বিচারের অপেক্ষায় মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শিবেন বিশ্বাস সমকালকে বলেন, ‘অবন্তিকার শিক্ষক ও সহপাঠীর বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ও মোবাইলের ফরেনসিক রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। সব রিপোর্ট হাতে এলে আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হবে।’

মীর মারুফ তাসিন/এমএস

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকা আলিয়ার স্বাস্থ্যকর ক্যাম্পাস গড়ার লক্ষ্যে শিবিরের পরিচ্ছন্নতা অভিযান

৭ মাসেও ময়নাতদন্ত ও ফরেনসিক রিপোর্ট পায়নি পুলিশ

তদন্ত প্রতিবেদনে কী আছে, জানতে চান অবন্তিকার মা

আপডেট সময় : ১১:২০:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তবে এই প্রতিবেদনে কী আছে, তা জানতে চেয়েছেন অবন্তিকার মা। গত ১৩ জুন ওই প্রতিবেদন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেন কমিটির আহ্বায়ক ড. মো. জাকির হোসেন।

এদিকে ময়নাতদন্ত ও মোবাইল ফোনের ফরেনসিক প্রতিবেদন না আসায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনমের দায়ের করা মামলায় চার্জশিট সাত মাসেও দাখিল করতে পারেনি পুলিশ। এরই মধ্যে জামিন পেয়েছেন মামলায় গ্রেপ্তার জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও অবন্তিকার সহপাঠী রায়হান আম্মান সিদ্দিক।

পুলিশ বলছে, অবন্তিকার মোবাইল ফোনে কিছু ছবি, স্ক্রিন শট ও মেসেজ পাওয়া গেছে, যা তদন্তে সহায়ক হবে। যেহেতু অবন্তিকা ফেসবুকে আত্মহত্যার কথা লিখে গেছেন, তাই তাঁর মোবাইল ফোন আদালতের অনুমতি নিয়ে পরীক্ষার জন্য ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে হয়তো ফরেনসিক প্রতিবেদন পাওয়া যাবে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনও আসেনি। তাই মামলার চার্জশিট দিতে দেরি হচ্ছে।

গত ১৫ মার্চ রাতে কুমিল্লার বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন অবন্তিকা। এর আগে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে এজন্য দ্বীন ইসলাম, রায়হান আম্মান সিদ্দিকসহ বেশ কয়েকজনকে দায়ী করেন তিনি। পরে এ ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করে জবি প্রশাসন। ১৩ জুন কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে সমকালকে বলেন, ‘প্রতিবেদনের খামটি সিলগালা করে জমা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে কী আছে, তা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রকাশ করবে এবং বিধি মোতাবেক পরবর্তী পদক্ষেপ নিবে। আগাম কিছু বলা যাবে না।’

তবে মামলার বাদী অবন্তিকার মা বলেন, ‘জবির তৎকালীন উপাচার্য তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করার ঘোষণা দিয়েছিলেন, কিন্তু চার মাসেও জানা গেল না সেই রিপোর্টে কী আছে।’ মেয়ের আত্মহত্যার নেপথ্যে থাকা লোকদের শাস্তি পাওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে তাহমিনা শবনম বলেন, ‘ঘটনার দুই হোতা আদালতে জামিন পেয়েছেন। আরও যারা জড়িত, তাদের শাস্তি হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।’ বিচারের অপেক্ষায় মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শিবেন বিশ্বাস সমকালকে বলেন, ‘অবন্তিকার শিক্ষক ও সহপাঠীর বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ও মোবাইলের ফরেনসিক রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। সব রিপোর্ট হাতে এলে আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হবে।’

মীর মারুফ তাসিন/এমএস