ঢাকা ০২:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কলকাতার মতো শহর পৃথিবীতে নেই : জয়া আহসান চলতি মাসেই জুলাই সনদ প্রকাশ করতে হবে : রাশেদ প্রধান জুলাই সনদ নিয়ে টালবাহানা সহ্য করা হবে না : নাহিদ ইসলাম সংস্কারবিহীন কোনো নির্বাচন জামায়াত গ্রহণ করবে না: তাহের দুঃখিত, এবার আর তা হবে না: প্রেস সচিব জুলাই অভ‍্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা স্বৈরাচারের লক্ষণ দেখামাত্রই যেন বিনাশ করতে পারি: প্রধান উপদেষ্টা জুলাই ঘোষণাপত্র দেবে অন্তর্বর্তী সরকার, কোনো দল বা ব্যক্তি নয় : জুলাই ঐক্য পদ্মা সেতুর মামলার প্রতিবেদন গায়ের জোরে দিয়েছে বিগত কমিশন : দুদক চেয়ারম্যান সবুজ পৃথিবী চাই: বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ ঢাকা আলিয়ার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

মাইক্রোপ্লাস্টিক নিয়ে ভয়ংকর তথ্য

ছবিঃ সংগৃহীত

মাইক্রোপ্লাস্টিকের উদ্বেগজনক উপস্থিতি এবার মানব ভ্রূণের স্বাস্থ্যকেও সংকটাপন্ন করছে। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, খাবারে প্লাস্টিকের অবশিষ্টাংশ, যা প্যাকেট, কনটেইনার এবং পানির বোতলে সহজেই প্রবেশ করে, তা গর্ভস্থ ভ্রূণের কোষের মধ্যে ঢুকতে পারে।

সায়েন্স অব দ্য টোটাল এনভায়রনমেন্ট জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় জানানো হয়েছে, প্লাস্টিক সহজে নষ্ট হয় না এবং মাইক্রো ও ন্যানো-প্লাস্টিক কণাগুলো নিঃশ্বাসের মাধ্যমে মানব শরীরে প্রবেশ করতে পারে।

এ গবেষণাটি আমেরিকার রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঁদুরের ওপর পরিচালিত হয়, যেখানে গর্ভবতী ইঁদুর মায়েদের শরীরে পলিঅ্যামাইড-১২ নামক প্লাস্টিকের কণা প্রবেশ করানো হয়।

গবেষণার ফলাফল থেকে দেখা গেছে, সন্তান জন্মের পরেও সেই প্লাস্টিক কণাগুলো শাবকের শরীরে উপস্থিত ছিল। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, মানুষের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটতে পারে। গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীর থেকে প্লাসেন্টার মাধ্যমে মাইক্রোপ্লাস্টিক ভ্রূণে প্রবেশ করতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, গর্ভস্থ মানবশিশুদের জন্যও এ তথ্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক। যদি সদ্যজাতকের মস্তিষ্ক ও হৃদপিণ্ডে ক্ষতিকারক প্লাস্টিক জমা হয়, তাহলে ভবিষ্যতে রোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে।

গবেষণায় দেখা গেছে, ছয়টি গর্ভবতী ইঁদুরকে ১০ দিন ধরে অ্যারোসোলাইজড ফুড-গ্রেড প্লাস্টিকের কাছে রাখার পর তাদের শরীরে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি পাওয়া যায়।

গবেষকরা এখন চিন্তিত, এ প্লাস্টিক কণাগুলো সন্তান জন্মের পরও শরীরে অবশিষ্ট থাকে কি না। দীর্ঘ পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, অন্তত ইঁদুরের ক্ষেত্রে, জন্মের দুই সপ্তাহ পরও তাদের শরীরে মাইক্রো ও ন্যানো-প্লাস্টিক পাওয়া গেছে।

এ গবেষণার ফলাফল মানব স্বাস্থ্য সম্পর্কে নতুন প্রশ্ন তুলেছে এবং প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানোর জন্য আরও সচেতনতা তৈরির আহ্বান জানানো হচ্ছে এ গবেষণায়।

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

কলকাতার মতো শহর পৃথিবীতে নেই : জয়া আহসান

মাইক্রোপ্লাস্টিক নিয়ে ভয়ংকর তথ্য

আপডেট সময় : ০৭:০৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

মাইক্রোপ্লাস্টিকের উদ্বেগজনক উপস্থিতি এবার মানব ভ্রূণের স্বাস্থ্যকেও সংকটাপন্ন করছে। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, খাবারে প্লাস্টিকের অবশিষ্টাংশ, যা প্যাকেট, কনটেইনার এবং পানির বোতলে সহজেই প্রবেশ করে, তা গর্ভস্থ ভ্রূণের কোষের মধ্যে ঢুকতে পারে।

সায়েন্স অব দ্য টোটাল এনভায়রনমেন্ট জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় জানানো হয়েছে, প্লাস্টিক সহজে নষ্ট হয় না এবং মাইক্রো ও ন্যানো-প্লাস্টিক কণাগুলো নিঃশ্বাসের মাধ্যমে মানব শরীরে প্রবেশ করতে পারে।

এ গবেষণাটি আমেরিকার রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঁদুরের ওপর পরিচালিত হয়, যেখানে গর্ভবতী ইঁদুর মায়েদের শরীরে পলিঅ্যামাইড-১২ নামক প্লাস্টিকের কণা প্রবেশ করানো হয়।

গবেষণার ফলাফল থেকে দেখা গেছে, সন্তান জন্মের পরেও সেই প্লাস্টিক কণাগুলো শাবকের শরীরে উপস্থিত ছিল। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, মানুষের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটতে পারে। গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীর থেকে প্লাসেন্টার মাধ্যমে মাইক্রোপ্লাস্টিক ভ্রূণে প্রবেশ করতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, গর্ভস্থ মানবশিশুদের জন্যও এ তথ্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক। যদি সদ্যজাতকের মস্তিষ্ক ও হৃদপিণ্ডে ক্ষতিকারক প্লাস্টিক জমা হয়, তাহলে ভবিষ্যতে রোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে।

গবেষণায় দেখা গেছে, ছয়টি গর্ভবতী ইঁদুরকে ১০ দিন ধরে অ্যারোসোলাইজড ফুড-গ্রেড প্লাস্টিকের কাছে রাখার পর তাদের শরীরে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি পাওয়া যায়।

গবেষকরা এখন চিন্তিত, এ প্লাস্টিক কণাগুলো সন্তান জন্মের পরও শরীরে অবশিষ্ট থাকে কি না। দীর্ঘ পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, অন্তত ইঁদুরের ক্ষেত্রে, জন্মের দুই সপ্তাহ পরও তাদের শরীরে মাইক্রো ও ন্যানো-প্লাস্টিক পাওয়া গেছে।

এ গবেষণার ফলাফল মানব স্বাস্থ্য সম্পর্কে নতুন প্রশ্ন তুলেছে এবং প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানোর জন্য আরও সচেতনতা তৈরির আহ্বান জানানো হচ্ছে এ গবেষণায়।