যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে লেবানন থেকে যারা ফিরতে ইচ্ছুক, তাদেরকে ফেরত আনার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো: তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, লেবাননে অবস্থানরত বাংলাদেশির সংখ্যা প্রায় ৭০ হাজার থেকে এক লাখ। এর মধ্যে এক হাজার ৮০০জনের মতো দেশে ফেরত আসার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন। অনেকেই ফেরত আসতে চান না, কারণ অনেক টাকা খরচ করে গেছেন। দেশে ফিরে কী করবেন, সেজন্য বিপদ জেনেও তারা সেদেশে থেকে যেতে চান।
বৃহস্পতিবার বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এসব কথা বলেন ।
যারা রেজিস্ট্রেশন করেছে, তাদের মধ্যে ১৬৭ জনের লিগ্যাল ডকুমেন্টস আছে, বাকী ১৬২৩ জন আনডকুমেন্টেড। আইওএম ২০০জনকে চার্টার্ড ফ্লাইটে ফেরত আনার জন্য কাজ করছে। অন্যদের জন্য সরকার ফ্লাইটের ব্যবস্থা করছে, প্রতিদিন প্রায় ৫০ জনের মতো আসতে পারবেন। আগামী ২০ তারিখে প্রথম ফ্লাইট ৫৩জন এবং ২২ তারিখ ৫৮ জন ঢাকায় আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সবাইকে বিমানের আনার নিশ্চয়তা নেই। কারণ, বৈরুত থেকে ৫০ জনের বেশি সিট বিমানে পাওয়া যাচ্ছে না। সেজন্য, চিন্তাভাবনা করছি প্রয়োজনে সমুদ্রপথে তাদেরকে তুরস্কের মিরসিন বন্দরে এনে পরে বিমানে দেশে আনার। তবে এটি অনেক ব্যয়বহুল, তারপরও মানুষের জীবনের নিরাপত্তায় এ ব্যবস্থা আমরা রাখছি।
তিনি বলেন, যারা ফিরে আসার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছে, তাদের মধ্যে প্রায় ৯০ ভাগই অনিয়মিত হয়ে পড়েছেন। তাদের জন্য সমস্যা একটু বেশি, তাদের জন্য ক্লিয়ারেন্স নিতে হবে। আর ক্লিয়ারেন্সের জন্য জরিমানার ব্যবস্থা আছে, সেটি মওকুফ করার ব্যবস্থা করছি। আইওএমের সহায়তা চেয়েছি। ফিরতে ইচ্ছুকদের সরকারি খরচে নিয়ে আসছি।
শাহাদাত হোসেন রাফিদ