ঢাকা ০১:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ বাধ্যতামূলক করার দাবি ইবি অধ্যাপকের

ডেস্ক রিপোর্ট

ড. আব্দুর রহমান আনওয়ারী বাংলাদেশী লেখক, অধ্যাপক, গবেষক, শিক্ষাবিদ ও ইসলামী ব্যক্তিত্ব। তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া’র দাওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সিনিয়র অধ্যাপক।

তিনি একাধারে ইসলামি দাওয়াহ সম্প্রসারণ ও তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব নিয়ে বিশ্বব্যাপী কাজ করে যাচ্ছেন।

গত রাতে তিনি তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন,ধর্ম নিরপেক্ষতাবাদী সরকার নাস্তিকদের প্ররোচনায় জাতীয় শিক্ষাকে ইসলাম মুক্ত করার ঘৃণ্য চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছিল। তন্মধ্যে তাদের পরিকল্পনা ছিল জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে ইসলামিক স্টাডিজকে ক্রমান্বয়ে উঠিয়ে দেয়া বা সংকোচিত করা। তারা আলীয়া ও দরসে নেযামীর সিলেবাসেও হাত দিয়ে ইসলামিক স্টাডিজ সংকোচনের চেষ্টা করে। তাদের আরেকটি পলিসি ছিল বিভিন্ন জেলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নাম দিয়ে সব সাবজেক্ট খোলা হবে একমাত্র ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ ছাড়া। বড়ই আফসোস মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশের অধিকাংশ মুসলিম ইসলাম সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান রাখেন না।

ওই পোস্টে তিনি আরও লিখেছেন,পূর্বে মক্তব, স্কুল কলেজে যেভাবে ইসলামিক স্টাডিজ পড়ানো হতো এখন সেভাবে হচ্ছে না। ফলে মুসলিম হলেও ক্রমান্বয়ে এমন একটি প্রজন্ম তৈরি হচ্ছে যাদের মধ্যে ইসলামী আদর্শ, বিশেষত তাকওয়া,মানবতা ও ইসলামী নীতি নৈতিকতা বিকশিত হচ্ছে না। মুসলিম হয়েও আল্লাহ তাআলার কাছে জবাবদেহিতার চেতনা ও মানবতার প্রতি দরদ সৃষ্টি হচ্ছে না।

সম্প্রতি কতিপয় পুলিশ ও তাদের সহযোগীদের দ্বারা ছাত্র জনতার হত্যায় নির্মমতা ও পৈশাচিকতা বিভৎস চিত্র সমুহ সেই দিকে ইশারা করে না? শহীদ ছাত্র ভাইটিকে গুলি করে আধ মরা করে গাড়ি থেকে লাথি দিয়ে নীচে ফেলে দেয়ার দৃশ্যটি গোটা বিশ্বের মানুষকে কাঁদিয়েছে। হায়রে মানবতা!!!!!!!! সে শহীদ ভাই টি নীচে পড়েও শরীর নাড়াচাড়া করে। মানে তখন ও তিনি জীবিত ছিলেন। হাসপাতালে প্রেরণ করলে হয়তো তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করা যেত। তাই এখন বড় বেশী প্রয়োজন প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও প্রশাসনিক প্রশিক্ষণ কোর্সে ইসলামিক স্টাডিজ বাধ্যতামূলক করা।

সুতরাং আমি মনে করি, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিটি বিভাগে কোর নলেজ হিসেবে ইসলামী জীবনাদর্শ অধ্যয়ন করানো এবং সাধারণ প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ খোলা অত্যাবশ্যক । বিশেষত ঢাকার জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহের কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের অধিকাংশ সাহিত্য জোরে আছে ইসলামিক ঐতিহ্য) , বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি।

জাতীয় স্বার্থে এ বিষয়ে জরুরী পদক্ষেপ কাম্য। প্রতি জেলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সমুহেও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ খোলার দাবি জানাচ্ছি। ইসলামের তাকওয়া ও আখলাক তথা আধ্যাত্মিক – মনস্তাত্ত্বিক জ্ঞান কি বিজ্ঞান বিরোধী? সুতরাং বিজ্ঞান নাম দিয়ে ইসলামী আদর্শ শিক্ষা প্রতিরোধের অপকৌশল পরিহার করুন।

https://www.facebook.com/share/p/nBZQxuE4ypxuH9cj

উল্লেখ্য,আব্দুর রহমান আনওয়ারী ইসলামের সমসাময়িক বিষয় নিয়ে অনেক বই লিখেছেন।তার মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য বইগুলো-

১। ইসলামী দাওয়াতের পদ্ধতি ও আধুনিক প্রেক্ষাপট
২। তাফসীরুল কুরআন উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ
৩। মহানবী (স)-এর দাওয়াত পর্যাক্রমিক কৌশল ও মাধ্যম
৪। পূর্ববর্তী নবী-রাসূলগণের দাওয়াত
৫।ইসলামী দা’ওয়াহ: স্বরূপ ও প্রয়োগ, প্রকাশক

5 thoughts on “বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ বাধ্যতামূলক করার দাবি ইবি অধ্যাপকের

  1. সর্বপর্যায়ে- ই ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক হওয়া প্রয়োজন।

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

অনলাইন স্ক্যাম ও জালিয়াতি প্রতিরোধে নতুন ফিচার আনল হোয়াটসঅ্যাপ

বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ বাধ্যতামূলক করার দাবি ইবি অধ্যাপকের

আপডেট সময় : ০৪:৪০:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪

ডেস্ক রিপোর্ট

ড. আব্দুর রহমান আনওয়ারী বাংলাদেশী লেখক, অধ্যাপক, গবেষক, শিক্ষাবিদ ও ইসলামী ব্যক্তিত্ব। তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া’র দাওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সিনিয়র অধ্যাপক।

তিনি একাধারে ইসলামি দাওয়াহ সম্প্রসারণ ও তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব নিয়ে বিশ্বব্যাপী কাজ করে যাচ্ছেন।

গত রাতে তিনি তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন,ধর্ম নিরপেক্ষতাবাদী সরকার নাস্তিকদের প্ররোচনায় জাতীয় শিক্ষাকে ইসলাম মুক্ত করার ঘৃণ্য চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছিল। তন্মধ্যে তাদের পরিকল্পনা ছিল জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে ইসলামিক স্টাডিজকে ক্রমান্বয়ে উঠিয়ে দেয়া বা সংকোচিত করা। তারা আলীয়া ও দরসে নেযামীর সিলেবাসেও হাত দিয়ে ইসলামিক স্টাডিজ সংকোচনের চেষ্টা করে। তাদের আরেকটি পলিসি ছিল বিভিন্ন জেলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নাম দিয়ে সব সাবজেক্ট খোলা হবে একমাত্র ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ ছাড়া। বড়ই আফসোস মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশের অধিকাংশ মুসলিম ইসলাম সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান রাখেন না।

ওই পোস্টে তিনি আরও লিখেছেন,পূর্বে মক্তব, স্কুল কলেজে যেভাবে ইসলামিক স্টাডিজ পড়ানো হতো এখন সেভাবে হচ্ছে না। ফলে মুসলিম হলেও ক্রমান্বয়ে এমন একটি প্রজন্ম তৈরি হচ্ছে যাদের মধ্যে ইসলামী আদর্শ, বিশেষত তাকওয়া,মানবতা ও ইসলামী নীতি নৈতিকতা বিকশিত হচ্ছে না। মুসলিম হয়েও আল্লাহ তাআলার কাছে জবাবদেহিতার চেতনা ও মানবতার প্রতি দরদ সৃষ্টি হচ্ছে না।

সম্প্রতি কতিপয় পুলিশ ও তাদের সহযোগীদের দ্বারা ছাত্র জনতার হত্যায় নির্মমতা ও পৈশাচিকতা বিভৎস চিত্র সমুহ সেই দিকে ইশারা করে না? শহীদ ছাত্র ভাইটিকে গুলি করে আধ মরা করে গাড়ি থেকে লাথি দিয়ে নীচে ফেলে দেয়ার দৃশ্যটি গোটা বিশ্বের মানুষকে কাঁদিয়েছে। হায়রে মানবতা!!!!!!!! সে শহীদ ভাই টি নীচে পড়েও শরীর নাড়াচাড়া করে। মানে তখন ও তিনি জীবিত ছিলেন। হাসপাতালে প্রেরণ করলে হয়তো তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করা যেত। তাই এখন বড় বেশী প্রয়োজন প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও প্রশাসনিক প্রশিক্ষণ কোর্সে ইসলামিক স্টাডিজ বাধ্যতামূলক করা।

সুতরাং আমি মনে করি, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিটি বিভাগে কোর নলেজ হিসেবে ইসলামী জীবনাদর্শ অধ্যয়ন করানো এবং সাধারণ প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ খোলা অত্যাবশ্যক । বিশেষত ঢাকার জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহের কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের অধিকাংশ সাহিত্য জোরে আছে ইসলামিক ঐতিহ্য) , বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি।

জাতীয় স্বার্থে এ বিষয়ে জরুরী পদক্ষেপ কাম্য। প্রতি জেলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সমুহেও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ খোলার দাবি জানাচ্ছি। ইসলামের তাকওয়া ও আখলাক তথা আধ্যাত্মিক – মনস্তাত্ত্বিক জ্ঞান কি বিজ্ঞান বিরোধী? সুতরাং বিজ্ঞান নাম দিয়ে ইসলামী আদর্শ শিক্ষা প্রতিরোধের অপকৌশল পরিহার করুন।

https://www.facebook.com/share/p/nBZQxuE4ypxuH9cj

উল্লেখ্য,আব্দুর রহমান আনওয়ারী ইসলামের সমসাময়িক বিষয় নিয়ে অনেক বই লিখেছেন।তার মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য বইগুলো-

১। ইসলামী দাওয়াতের পদ্ধতি ও আধুনিক প্রেক্ষাপট
২। তাফসীরুল কুরআন উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ
৩। মহানবী (স)-এর দাওয়াত পর্যাক্রমিক কৌশল ও মাধ্যম
৪। পূর্ববর্তী নবী-রাসূলগণের দাওয়াত
৫।ইসলামী দা’ওয়াহ: স্বরূপ ও প্রয়োগ, প্রকাশক