ঢাকা ০৯:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

মূল্যস্ফীতি জোর করে কমিয়ে রাখা হতো : গভর্নর

ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, গত সরকারের আমলে মূল্যস্ফীতি জোর করে কমিয়ে রাখা হতো। কিন্তু জুলাইয়ের পর থেকে এটা ফ্রি। যার কারণে সঠিক তথ্যই ওঠে আসছে।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সচিবালয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ে সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, অক্টোবরে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি আবারো ১০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। তবে এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।

মূলত গত আগস্ট-সেপ্টেম্বরের বন্যার প্রভাবে অক্টোবরে দেশের মূল্যস্ফীতি বেড়েছে বলে জানান তিনি।

এ ছাড়া তিনি বলেন, পণ্যের দাম কমিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আরও সময় লাগবে। ৭ বছর ধরে বেড়ে চলা মূল্যস্ফীতি হঠাৎ করেই কমানো যাবে না। মানুষকে ধৈর্য ধরতে হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম কম আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডলার রেট বর্তমানে স্থিতিশীল আছে। সুতরাং মূল্যস্ফীতি কমতে বাধ্য। এদিকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) জানিয়েছে, গত অক্টোবর মাসে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়েছে শূন্য দশমিক ৯৫ শতাংশ। আর খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ২ দশমিক ২৬ শতাংশ। তবে নিম্নমুখী খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতিও। অক্টোবর মাসে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ হয়েছে, গত সেপ্টেম্বর মাসে যেটি ছিল ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। এ ছাড়া অক্টোবরে সার্বিক খাদ্য মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ। সেপ্টেম্বর মাসে যেটি ছিল ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ।

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

অনলাইন স্ক্যাম ও জালিয়াতি প্রতিরোধে নতুন ফিচার আনল হোয়াটসঅ্যাপ

মূল্যস্ফীতি জোর করে কমিয়ে রাখা হতো : গভর্নর

আপডেট সময় : ০৬:২৬:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, গত সরকারের আমলে মূল্যস্ফীতি জোর করে কমিয়ে রাখা হতো। কিন্তু জুলাইয়ের পর থেকে এটা ফ্রি। যার কারণে সঠিক তথ্যই ওঠে আসছে।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সচিবালয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ে সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, অক্টোবরে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি আবারো ১০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। তবে এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।

মূলত গত আগস্ট-সেপ্টেম্বরের বন্যার প্রভাবে অক্টোবরে দেশের মূল্যস্ফীতি বেড়েছে বলে জানান তিনি।

এ ছাড়া তিনি বলেন, পণ্যের দাম কমিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আরও সময় লাগবে। ৭ বছর ধরে বেড়ে চলা মূল্যস্ফীতি হঠাৎ করেই কমানো যাবে না। মানুষকে ধৈর্য ধরতে হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম কম আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডলার রেট বর্তমানে স্থিতিশীল আছে। সুতরাং মূল্যস্ফীতি কমতে বাধ্য। এদিকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) জানিয়েছে, গত অক্টোবর মাসে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়েছে শূন্য দশমিক ৯৫ শতাংশ। আর খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ২ দশমিক ২৬ শতাংশ। তবে নিম্নমুখী খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতিও। অক্টোবর মাসে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ হয়েছে, গত সেপ্টেম্বর মাসে যেটি ছিল ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। এ ছাড়া অক্টোবরে সার্বিক খাদ্য মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ। সেপ্টেম্বর মাসে যেটি ছিল ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ।