ঢাকা ০৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে তরুণ প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করতে হবে: পানিসম্পদ উপদেষ্টা ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডে জনবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, পদ ৭৩ গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, পদ ৯৩ আগামী নির্বাচন হতে হবে জুলাই সনদের ভিত্তিতে : নাহিদ ইসলাম যে ১০ লক্ষণ ইঙ্গিত দেয় ক্যানসারের দেশের ইতিহাসে প্রথমবার প্রবাসীদের জন্য সৌদির সঙ্গে চুক্তি হবে: আসিফ নজরুল রায়েরবাজার গণকবরের ১১৪ মরদেহ তোলা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সংসদের বাইরে সংবিধান সংশোধনের সুযোগ নেই : আমীর খসরু গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জয় বাংলা স্লোগান বাংলাদেশের, ভারতে চলবে না: শুভেন্দু অধিকারী

সংসদের বাইরে সংবিধান সংশোধনের সুযোগ নেই : আমীর খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সংবিধানে কোনো সংশোধনী আনতে হলে তা অবশ্যই সংসদের মাধ্যমেই করতে হবে। সংসদের বাইরে সংবিধান সংশোধনের কোনো সুযোগ নেই।

শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর নীলক্ষেতে আইসিএমএবি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন। বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মরহুম আবদুল মান্নানের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই স্মরণসভার আয়োজন করে মান্নান নিলুফার মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন।

মরহুমার কন্যা ব্যারিস্টার মেহনাজ মান্নানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মো. রফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সংবিধান সংশোধন নিয়ে আলোচনা এখনো চলছে। যদি সংবিধানে কোনো পরিবর্তন আনতেই হয়, তবে তা সংসদের মাধ্যমেই আনতে হবে। প্রতিটি দলকে এ বিষয়ে জনগণের ম্যান্ডেট নিতে হবে এবং এই প্রক্রিয়া অবশ্যই সংসদীয় কাঠামোর ভেতরেই সম্পন্ন করতে হবে। স্বচ্ছ ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কোনো পরিবর্তন আনতে হলে তা সংসদের বাইরের কোনো মাধ্যমে আনা যাবে না।

তিনি বলেন, যারা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত ও নির্বাচনকে প্রতিহত করতে চায়, তারা আসলে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা সংসদীয় ব্যবস্থাতেও বিশ্বাস করে না। এমনকি তারা নিজেরাও জানে না কী পদ্ধতি অনুসরণ করবে।

রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তনের ওপর গুরুত্বারোপ করে আমীর খসরু বলেন, আমরা যত সংস্কারই করি না কেনো, যদি আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তন করতে না পারি, তাহলে সব সংস্কার ব্যর্থ হবে। আমাদের অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও সহনশীল হতে হবে। একমাত্র এভাবেই আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে দেশকে এগিয়ে নিতে পারব। দেশের স্বার্থে ঐক্য দরকার, আর এই ঐক্য আমাদেরই গড়ে তুলতে হবে।

রাজনৈতিক ঐক্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনেকে বলছেন জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের পর দলগুলোর মধ্যে ঐক্য ভেঙে গেছে। আমি তা দেখি না। প্রতিটি দলের নিজস্ব মতাদর্শ ও চিন্তা-ভাবনা থাকবে। যেটুকুতে আমরা একমত হতে পারব, ততটুকুতে এক হব, আর বাকি বিষয়গুলো জনগণের কাছে তুলে ধরতে হবে। জনগণই মালিক। তাদের কাছে বিষয়গুলো উপস্থাপন করতে হবে এবং তাদের সিদ্ধান্তই সংসদে পাস করাতে হবে।

ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম তার শ্বশুর মরহুম আব্দুল মান্নান সম্পর্কে বলেন, আজ আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের কথা বলছি। অথচ এই সরকারের বিষয়ে গণমাধ্যমে লিখেছিলেন মরহুম আব্দুল মান্নান। দেশ ও জাতির জন্য অনেক অবদান রেখেছেন মরহুম আব্দুল মান্নান। তিনি সবসময় দেশ নিয়ে ভাবতেন। ৩৬ বছর বয়সে তাকে বাংলাদেশ বিমানের এমডি করা হয়েছিল। তার সময়ে বিমান লাভজনক প্রতিষ্ঠান ছিল। তার বিরুদ্ধে কেউ দুর্নীতির অভিযোগ আনতে পারেনি। তিনি সমাজসেবা করতেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে গিয়েছিলেন সেবার উদ্দেশ্যে। তাকে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান খুবই স্নেহ করতেন। ফ্যাসিস্ট আমলে তার ওপরেও মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে। আজ শেখ হাসিনার পতনকালে তিনি বেঁচে থাকলে খুবই খুশি হতেন।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে তরুণ প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করতে হবে: পানিসম্পদ উপদেষ্টা

সংসদের বাইরে সংবিধান সংশোধনের সুযোগ নেই : আমীর খসরু

আপডেট সময় : ০৮:২০:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সংবিধানে কোনো সংশোধনী আনতে হলে তা অবশ্যই সংসদের মাধ্যমেই করতে হবে। সংসদের বাইরে সংবিধান সংশোধনের কোনো সুযোগ নেই।

শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর নীলক্ষেতে আইসিএমএবি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন। বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মরহুম আবদুল মান্নানের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই স্মরণসভার আয়োজন করে মান্নান নিলুফার মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন।

মরহুমার কন্যা ব্যারিস্টার মেহনাজ মান্নানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মো. রফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সংবিধান সংশোধন নিয়ে আলোচনা এখনো চলছে। যদি সংবিধানে কোনো পরিবর্তন আনতেই হয়, তবে তা সংসদের মাধ্যমেই আনতে হবে। প্রতিটি দলকে এ বিষয়ে জনগণের ম্যান্ডেট নিতে হবে এবং এই প্রক্রিয়া অবশ্যই সংসদীয় কাঠামোর ভেতরেই সম্পন্ন করতে হবে। স্বচ্ছ ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কোনো পরিবর্তন আনতে হলে তা সংসদের বাইরের কোনো মাধ্যমে আনা যাবে না।

তিনি বলেন, যারা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত ও নির্বাচনকে প্রতিহত করতে চায়, তারা আসলে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা সংসদীয় ব্যবস্থাতেও বিশ্বাস করে না। এমনকি তারা নিজেরাও জানে না কী পদ্ধতি অনুসরণ করবে।

রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তনের ওপর গুরুত্বারোপ করে আমীর খসরু বলেন, আমরা যত সংস্কারই করি না কেনো, যদি আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তন করতে না পারি, তাহলে সব সংস্কার ব্যর্থ হবে। আমাদের অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও সহনশীল হতে হবে। একমাত্র এভাবেই আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে দেশকে এগিয়ে নিতে পারব। দেশের স্বার্থে ঐক্য দরকার, আর এই ঐক্য আমাদেরই গড়ে তুলতে হবে।

রাজনৈতিক ঐক্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনেকে বলছেন জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের পর দলগুলোর মধ্যে ঐক্য ভেঙে গেছে। আমি তা দেখি না। প্রতিটি দলের নিজস্ব মতাদর্শ ও চিন্তা-ভাবনা থাকবে। যেটুকুতে আমরা একমত হতে পারব, ততটুকুতে এক হব, আর বাকি বিষয়গুলো জনগণের কাছে তুলে ধরতে হবে। জনগণই মালিক। তাদের কাছে বিষয়গুলো উপস্থাপন করতে হবে এবং তাদের সিদ্ধান্তই সংসদে পাস করাতে হবে।

ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম তার শ্বশুর মরহুম আব্দুল মান্নান সম্পর্কে বলেন, আজ আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের কথা বলছি। অথচ এই সরকারের বিষয়ে গণমাধ্যমে লিখেছিলেন মরহুম আব্দুল মান্নান। দেশ ও জাতির জন্য অনেক অবদান রেখেছেন মরহুম আব্দুল মান্নান। তিনি সবসময় দেশ নিয়ে ভাবতেন। ৩৬ বছর বয়সে তাকে বাংলাদেশ বিমানের এমডি করা হয়েছিল। তার সময়ে বিমান লাভজনক প্রতিষ্ঠান ছিল। তার বিরুদ্ধে কেউ দুর্নীতির অভিযোগ আনতে পারেনি। তিনি সমাজসেবা করতেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে গিয়েছিলেন সেবার উদ্দেশ্যে। তাকে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান খুবই স্নেহ করতেন। ফ্যাসিস্ট আমলে তার ওপরেও মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে। আজ শেখ হাসিনার পতনকালে তিনি বেঁচে থাকলে খুবই খুশি হতেন।

কেকে