ঢাকা ০৮:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শিবির নেতার ভুলে আমিমুল ইহসান হল হয়ে গেল ‘আমির উদ্দিন হল’! সিএনজি পাম্পে গ্যাস নিতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চালকের মৃত্যু বিএনপি’র দুর্দিনে বিভিন্ন নির্যাতনের শিকার হয়েও কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন মোঃ রাজন আলী গুম কমিশনে ২৫৩ জনের অভিযোগ প্রমাণিত: মইনুল ইসলাম গ্রামীণ ব্যাংকে চাকরি নিয়োগ, আবেদন অনলাইনে ইলিশ রক্ষা আমাদের জাতীয় কর্তব্য: মৎস্য উপদেষ্টা নির্বাচন নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা দেওয়া হয়নি : সেনাসদর বিশ্ববাসীকে পরিষ্কার বার্তা দিতে হবে, রোহিঙ্গা সমস্যা অত্যন্ত গুরুতর: তারেক রহমান ভালো আলাপ-আলোচনা হচ্ছে কিন্তু ঐকমত‍্য হচ্ছে না : এবি পার্টি প্রায় প্রতিদিনই ট্রাম্পের সঙ্গে আমার কথা হয়: নেতানিয়াহু

ইট মারলে পাটকেল খাওয়ার প্রস্তুতিও রাখা উচিত : উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া (ছবি : সংগৃহীত)

রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দিয়েছে ছাত্র-জনতা। এ নিয়ে রাজনৈতিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চলছে নানা আলোচনা। বিষয়টি নিয়ে এক বিবৃতিতে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারও।

এবার বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় ফেসবুকে নিজের আইডিতে এক পোস্ট দিয়েছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

পোস্টে তিনি বলেন, ‘খুনি হাসিনার বাংলাদেশবিরোধী, গণঅভ্যুত্থানবিরোধী বক্তব্য যেই গণক্ষোভের জন্ম দিয়েছে, তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে ৩২ নম্বরে।’

তরুণ এই উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকার কী করবে? খুনি হাসিনা দেশের মানুষকে বিক্ষুব্ধ করে তুলবে আর সরকার জুলাইয়ের সেই ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অস্ত্র ধরতে বলবে? ইট মারলে পাটকেল খাওয়ার প্রস্তুতিও রাখা উচিত।’

এর আগে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাকে অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত বলে বিবৃতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পলাতক অবস্থায় ভারতে বসে জুলাই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্যের কারণে জনমনে গভীর ক্রোধের সৃষ্টি হয়েছে, যার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।

দুটি বিষয়ের ওপর আলোকপাত করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ছয় মাসে ৩২ নম্বর বাড়িটিতে কোনো ধরনের আক্রমণ ও ধংসযজ্ঞ হয়নি। গতকাল রাতে এটি ঘটেছে পলাতক শেখ হাসিনার বক্তব্য ঘিরে, যার দুটি অংশ আছে। প্রথমত, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা আত্মদান করেছেন, শেখ হাসিনা তাদের অপমান করেছেন, অবমাননা করেছেন। শহিদের মৃত্যু-সম্পর্কিত অবান্তর, আজগুবি ও বিদ্বেষমূলক কথা বলেছেন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে অবজ্ঞা করেছেন ও অশ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

দ্বিতীয়ত, শেখ হাসিনা দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও অমানবিক প্রক্রিয়ায় নিপীড়ন চালিয়ে ক্ষমতায় থাকাকালীন যে সুরে কথা বলতেন গণঅভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে যাওয়ার পরেও তিনি একই হুমকি-ধমকির সুরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে, গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া প্রতিটি মানুষের বিরুদ্ধে কথা বলে চলেছেন, হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। শেখ হাসিনা দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির হুমকি দিয়েছেন।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

শিবির নেতার ভুলে আমিমুল ইহসান হল হয়ে গেল ‘আমির উদ্দিন হল’!

ইট মারলে পাটকেল খাওয়ার প্রস্তুতিও রাখা উচিত : উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

আপডেট সময় : ০৯:৩৯:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দিয়েছে ছাত্র-জনতা। এ নিয়ে রাজনৈতিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চলছে নানা আলোচনা। বিষয়টি নিয়ে এক বিবৃতিতে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারও।

এবার বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় ফেসবুকে নিজের আইডিতে এক পোস্ট দিয়েছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

পোস্টে তিনি বলেন, ‘খুনি হাসিনার বাংলাদেশবিরোধী, গণঅভ্যুত্থানবিরোধী বক্তব্য যেই গণক্ষোভের জন্ম দিয়েছে, তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে ৩২ নম্বরে।’

তরুণ এই উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকার কী করবে? খুনি হাসিনা দেশের মানুষকে বিক্ষুব্ধ করে তুলবে আর সরকার জুলাইয়ের সেই ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অস্ত্র ধরতে বলবে? ইট মারলে পাটকেল খাওয়ার প্রস্তুতিও রাখা উচিত।’

এর আগে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাকে অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত বলে বিবৃতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পলাতক অবস্থায় ভারতে বসে জুলাই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্যের কারণে জনমনে গভীর ক্রোধের সৃষ্টি হয়েছে, যার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।

দুটি বিষয়ের ওপর আলোকপাত করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ছয় মাসে ৩২ নম্বর বাড়িটিতে কোনো ধরনের আক্রমণ ও ধংসযজ্ঞ হয়নি। গতকাল রাতে এটি ঘটেছে পলাতক শেখ হাসিনার বক্তব্য ঘিরে, যার দুটি অংশ আছে। প্রথমত, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা আত্মদান করেছেন, শেখ হাসিনা তাদের অপমান করেছেন, অবমাননা করেছেন। শহিদের মৃত্যু-সম্পর্কিত অবান্তর, আজগুবি ও বিদ্বেষমূলক কথা বলেছেন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে অবজ্ঞা করেছেন ও অশ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

দ্বিতীয়ত, শেখ হাসিনা দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও অমানবিক প্রক্রিয়ায় নিপীড়ন চালিয়ে ক্ষমতায় থাকাকালীন যে সুরে কথা বলতেন গণঅভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে যাওয়ার পরেও তিনি একই হুমকি-ধমকির সুরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে, গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া প্রতিটি মানুষের বিরুদ্ধে কথা বলে চলেছেন, হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। শেখ হাসিনা দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির হুমকি দিয়েছেন।

কেকে