শহরের দ্রুতগতির জীবনকে সহজতর করতে প্রযুক্তির অগ্রগতিতে লিফটের গুরুত্ব অপরিসীম। বহুতল ভবনের এই যান্ত্রিক সিঁড়ি প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষের সময় ও শ্রম বাঁচিয়ে জীবনকে সহজ করে দিচ্ছে। অন্যদিকে আধুনিক এই নাগরিক জীবনকে হুমকির মুখে এবং পিছিয়ে ফেলতে পারে ককটেল বোমা।
লিফট বা এলিভেটর, শহরের বহুতল ভবনগুলোতে যোগাযোগের অন্যতম প্রধান মাধ্যম। এটি শুধু একটি যাতায়াতের ব্যবস্থা নয়, বরং একটি নিরাপত্তার প্রতীকও। উচ্চমানের প্রযুক্তি, নির্মাণশৈলী এবং দ্রুতগতির সুবিধার কারণে এটি আজকাল শুধু অফিস ভবন নয়, আবাসিক ভবনেও অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। আধুনিক লিফটগুলোতে নিরাপত্তার জন্য রয়েছে সেন্সর, ব্যাকআপ সিস্টেম এবং জরুরি ব্যবস্থাপনার জন্য অ্যালার্ম।
লিফটের সুবিধার বিপরীত ককটেল বোমা। এটি শহরের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার একটি ভয়াবহ প্রতীক। এটি একটি ছোট আকারের হাতবোমা, যা সহজেই তৈরি করা যায় এবং তাৎক্ষণিক বিস্ফোরণে সক্ষম। জনজীবনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা, ভয় সঞ্চার করা এবং জানমালের ক্ষতি করা এসব উদ্দেশ্যেই এই বোমাগুলো ব্যবহার করা হয়।
একদিকে লিফট আমাদের ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে ককটেল বোমা পিছিয়ে দিচ্ছে সমাজকে। প্রযুক্তি এবং সন্ত্রাসের এই দ্বন্দ্ব আমাদের সামনে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলে ধরে—আমরা কি নিরাপদে আধুনিক জীবনযাপন করতে পারব, নাকি সবসময় হুমকির ছায়ায় থাকতে হবে?
শহুরে জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের শক্তিশালী ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভবনগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা, সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ বৃদ্ধি এবং সন্ত্রাস দমনের জন্য কঠোর আইন প্রয়োগের বিকল্প নেই। একইসঙ্গে, সাধারণ মানুষকেও সচেতন থাকতে হবে এবং সন্দেহজনক কিছু দেখলে তা দ্রুত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানাতে হবে।
লিফট এবং ককটেল বোমা দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিস। কিন্তু এগুলো শহরের জীবনকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা রাখে। তাই প্রযুক্তির ইতিবাচক দিক গ্রহণ এবং নেতিবাচক দিক প্রতিরোধ করাই একটি নিরাপদ নগর জীবনের চাবিকাঠি।
আর এফ রায়হান