ঢাকা ০২:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাদের ড্রাইভিং ট্রেনিং শুরু ঢাকা আলিয়ায় আলিম পরীক্ষার্থীদের জন্য দোয়া ও দিকনির্দেশনার অনন্য আয়োজন তারেক রহমানের ফেরা নিয়ে প্রস্তুতি চলছে : আমীর খসরু শহীদদের দলীয়করণ করলে তাদের অবমূল্যায়ন করা হবে : ডা. জাহিদ সরকারের সহযোগিতা ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: সিইসি ঢাকা মেডিকেল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা আ.লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা সিদ্ধান্ত ইসির : প্রধান উপদেষ্টা বিশ্বব্যাংক থেকে ৫০ কোটি ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ ইউআইইউর ২২ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার নির্বাচন নিয়ে সন্দিহান ছিলাম, এখন আশ্বস্ত হয়েছি : মির্জা ফখরুল

শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, কমে যায় যেসব খাবারে

ছবিঃ সংগৃহীত

আমাদের আশপাশে উপস্থিত রয়েছে অসংখ্য জীবাণু। এই জীবাণুগুলো সবসময় আমাদের শরীরের উপর আক্রমণ চালায়। তারপরও আমাদের কথায় কথায় জ্বর, সর্দি, কাশি বা অন্যান্য সমস্যা হয় না। কারণ, ইমিউনিটি বা শরীরের নিজস্ব সৈন্যদল এসব জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইতে নেমে যায়। যার ফলে আমাদের সমস্যা হয় না।

তবে মাথায় রাখবেন, কিছু খাবার সরাসরি ইমিউনিটির ওপর আঘাত আনতে পারে। আর এমনটা ঘটলেই বিপদ! তখন বড়সড় রোগের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই আর দেরি না করে তেমনই কিছু খাবার সম্পর্কে বিশদে জেনে নিন।

মিষ্টিতেই বিপদের আশঙ্কাঃ

আমাদের মধ্যে অনেকেই মিষ্টির প্রেমে পাগল। তাই তারা প্রতিদিন একাধিক মিষ্টি খান। এমনকি মিষ্টি ছাড়াও আইসক্রিম, চকোলেট খেয়েও সারেন রসনাতৃপ্তি। তবে মাথায় রাখতে হবে, নিয়মিত মিষ্টি খেলে দেহে প্রদাহ বাড়তে পারে। যার ফলে কমতে পারে ইমিউনিটি। তাই ইমিউনিটিকে চাঙ্গা রাখতে চাইলে ভুলেও প্রতিদিন মিষ্টি খাবেন না। এমনকি খাওয়া চলবে না কোল্ড ড্রিংকস, আইসক্রিম এবং চকোলেট। তাতেই সুস্থ থাকবেন।

লবণ খেলেই সর্বনাশঃ

আপনি কি রান্নায় অতিরিক্ত লবণ দেন? এমনকি খাবারের ওপর লবণ ছড়িয়ে খাওয়ার রয়েছে অভ্যাস? তাহলে দ্রুত সাবধান হতে হবে। কারণ, লবণ শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এই উপাদান শরীরে সোডিয়াম লেভেল বাড়িয়ে দিতে পারে। যার ফলে বৃদ্ধি পায় প্রেশার। শুধু তাই নয়, নিয়মিত নুন খাওয়ার কারণে প্রদাহও বাড়তে পারে। সে কারণে ইমিউনিটি কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই ভুলেও রোজ রোজ লবণ খাবেন না। তাতেই সুস্থ থাকার পথে এগিয়ে যাবেন।

ফাস্টফুড চলবে নাঃ

বিরিয়ানি, রোল, চাউমিন, বার্গার, পিৎজার মতো খাবার খেতে নিশ্চয়ই সুস্বাদু। তবে এই খাবারগুলো শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এগুলোতে উপস্থিত রয়েছে এজিইএস-নামক একটি উপাদান যা প্রদাহ কমাতে পারে। এমনকি অন্ত্রে উপস্থিত উপকারী ব্যাকটেরিয়ার হাল করে দিতে পারে বেহাল। যার ফলে ইমিউনিটি কমে যেতে পারে। সেই সঙ্গে পিছু নিতে পারে একাধিক জটিল অসুখ। তাই চেষ্টা করুন যে ভাবেই হোক ফাস্টফুড এড়িয়ে চলার।

প্রসেসড মিটের থেকে থাকুন দূরেঃ

আজকাল অনেকেই প্রক্রিয়াজাত মাংস থেকে তৈরি হ্যাম, সসেজ, বেকন খাওয়ায় অভ্যাস্ত। তবে এই ধরনের প্রক্রিায়জাত মাংস দিয়ে তৈরি খাবার শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এতে উপস্থিত রয়েছে একাধিক ক্ষতিকর উপাদান। আর এ সব উপাদান শরীরের হাল বেহাল করে দেওয়ার কাজে সিদ্ধহস্ত। এমনকি ইমিউনিটি কমিয়েও দিতে পারে এই ধরনের খাবার। তাই ভুলেও রোজ রোজ প্রসেসড ফুড খাবেন না। আশা করছি, তাতেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।

রিফাইন কার্বেও বিপদঃ

ময়দা, বেসন থেকে তৈরি যে কোনো খাবারকে রিফাইন কার্বের তালিকায় রাখা যায়। আর এই ধরনের খাবার সুগার লেভেল বাড়িয়ে দিতে পারে। যার ফলে পিছু নিতে পারে একাধিক সমস্যা। এমনকি কমে যেতে পারে ইমিউনিটি। তাই ভুলেও রোজ রোজ পাউরুটি, পরোটার মতো রিফাইন কার্ব সমৃদ্ধ খাবার খাবেন না। তাতে বিপদ আরও বাড়তে পারে।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাদের ড্রাইভিং ট্রেনিং শুরু

শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, কমে যায় যেসব খাবারে

আপডেট সময় : ১২:৩৪:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

আমাদের আশপাশে উপস্থিত রয়েছে অসংখ্য জীবাণু। এই জীবাণুগুলো সবসময় আমাদের শরীরের উপর আক্রমণ চালায়। তারপরও আমাদের কথায় কথায় জ্বর, সর্দি, কাশি বা অন্যান্য সমস্যা হয় না। কারণ, ইমিউনিটি বা শরীরের নিজস্ব সৈন্যদল এসব জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইতে নেমে যায়। যার ফলে আমাদের সমস্যা হয় না।

তবে মাথায় রাখবেন, কিছু খাবার সরাসরি ইমিউনিটির ওপর আঘাত আনতে পারে। আর এমনটা ঘটলেই বিপদ! তখন বড়সড় রোগের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই আর দেরি না করে তেমনই কিছু খাবার সম্পর্কে বিশদে জেনে নিন।

মিষ্টিতেই বিপদের আশঙ্কাঃ

আমাদের মধ্যে অনেকেই মিষ্টির প্রেমে পাগল। তাই তারা প্রতিদিন একাধিক মিষ্টি খান। এমনকি মিষ্টি ছাড়াও আইসক্রিম, চকোলেট খেয়েও সারেন রসনাতৃপ্তি। তবে মাথায় রাখতে হবে, নিয়মিত মিষ্টি খেলে দেহে প্রদাহ বাড়তে পারে। যার ফলে কমতে পারে ইমিউনিটি। তাই ইমিউনিটিকে চাঙ্গা রাখতে চাইলে ভুলেও প্রতিদিন মিষ্টি খাবেন না। এমনকি খাওয়া চলবে না কোল্ড ড্রিংকস, আইসক্রিম এবং চকোলেট। তাতেই সুস্থ থাকবেন।

লবণ খেলেই সর্বনাশঃ

আপনি কি রান্নায় অতিরিক্ত লবণ দেন? এমনকি খাবারের ওপর লবণ ছড়িয়ে খাওয়ার রয়েছে অভ্যাস? তাহলে দ্রুত সাবধান হতে হবে। কারণ, লবণ শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এই উপাদান শরীরে সোডিয়াম লেভেল বাড়িয়ে দিতে পারে। যার ফলে বৃদ্ধি পায় প্রেশার। শুধু তাই নয়, নিয়মিত নুন খাওয়ার কারণে প্রদাহও বাড়তে পারে। সে কারণে ইমিউনিটি কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই ভুলেও রোজ রোজ লবণ খাবেন না। তাতেই সুস্থ থাকার পথে এগিয়ে যাবেন।

ফাস্টফুড চলবে নাঃ

বিরিয়ানি, রোল, চাউমিন, বার্গার, পিৎজার মতো খাবার খেতে নিশ্চয়ই সুস্বাদু। তবে এই খাবারগুলো শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এগুলোতে উপস্থিত রয়েছে এজিইএস-নামক একটি উপাদান যা প্রদাহ কমাতে পারে। এমনকি অন্ত্রে উপস্থিত উপকারী ব্যাকটেরিয়ার হাল করে দিতে পারে বেহাল। যার ফলে ইমিউনিটি কমে যেতে পারে। সেই সঙ্গে পিছু নিতে পারে একাধিক জটিল অসুখ। তাই চেষ্টা করুন যে ভাবেই হোক ফাস্টফুড এড়িয়ে চলার।

প্রসেসড মিটের থেকে থাকুন দূরেঃ

আজকাল অনেকেই প্রক্রিয়াজাত মাংস থেকে তৈরি হ্যাম, সসেজ, বেকন খাওয়ায় অভ্যাস্ত। তবে এই ধরনের প্রক্রিায়জাত মাংস দিয়ে তৈরি খাবার শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এতে উপস্থিত রয়েছে একাধিক ক্ষতিকর উপাদান। আর এ সব উপাদান শরীরের হাল বেহাল করে দেওয়ার কাজে সিদ্ধহস্ত। এমনকি ইমিউনিটি কমিয়েও দিতে পারে এই ধরনের খাবার। তাই ভুলেও রোজ রোজ প্রসেসড ফুড খাবেন না। আশা করছি, তাতেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।

রিফাইন কার্বেও বিপদঃ

ময়দা, বেসন থেকে তৈরি যে কোনো খাবারকে রিফাইন কার্বের তালিকায় রাখা যায়। আর এই ধরনের খাবার সুগার লেভেল বাড়িয়ে দিতে পারে। যার ফলে পিছু নিতে পারে একাধিক সমস্যা। এমনকি কমে যেতে পারে ইমিউনিটি। তাই ভুলেও রোজ রোজ পাউরুটি, পরোটার মতো রিফাইন কার্ব সমৃদ্ধ খাবার খাবেন না। তাতে বিপদ আরও বাড়তে পারে।

কেকে